চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের আসন সংখ্যা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের আসন সংখ্যা
দেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। চবি যেন এক নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্মিলিত এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।চবি ক্যাম্পাসে ইকোসিস্টেম বা বায়োডাইভার্সিটির প্রায় সব উপাদান ই পাওয়া যায়। পাহাড়, জঙ্গল, বিশাল বিশাল গুল্মলতা আর গাছগাছালি, পাখির কিচিরমিচির,সাপ,ব্যাঙ সহ ঝর্ণা,নদী, গিরি পথ সবকিছু আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে। চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে পৃথিবীর একমাত্র শাটল ট্রেন ওয়ালা চবি পাহাড়ের উপর প্রায় ২২০০ একর জায়গার উপর অবস্থিত।

এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের/ University Grant Commission (UGC) এর অধীনে পরিচালিত দেশের চারটি সায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।প্রতি বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২২৬ জন ছাত্র ছাত্রীকে বিভিন্ন অনুষদের অন্ডারে বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক (অনার্স) বি.এস.সি,বিএ,বি.এস.এস এবং বিবিএ,এর.এল.এম তে ভর্তি নেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়ার জন্য অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরিক্ষার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি চবির ভর্তি পরিক্ষাকে চারটি ইউনিট এবং ২ টি উপ-ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভর্তি নেয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ইউনিটে আসন সংখ্যা কত,আসন প্রতি কতজন প্রতিযোগি এবং কত আবেদন পড়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি+ডি-১ ইউনিট পরিচিতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার ডি ইউনিট এবং ডি-১ উপ-ইউনিট যেটাকে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট বলা হয়।যদিও এ ইউনিটে ব্যতিত চবির সব ইউনিটেই বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সকল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে। কিন্তু সেই ইউনিট ছাড়া অন্য কোন ইউনিটের বিষয়ে ভর্তি হতে পারে না।চবি ডি ইউনিট এবং ডি-১ উপ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সকল বিভাগ, আইন অনুষদের আইন বিভাগ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ এবং শিক্ষা অনুষদের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ডি+ডি-১ ইউনিটের আসন সংখ্যা 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিট এবং ডি-১ উপ-ইউনিটে মোট তিনটি অনুষদে এবং একটি ইনস্টিটিউট এর অধীনে ১২ টি বিভাগে রয়েছে।

মোট বিভাগ - ১২ টি।

মোট আসন - ৯৮৮ টি।

চবি ডি ইউনিটের এবছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন ফি জমা দিয়েছে ৫৬৯৪১ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডি-১ উপ-ইউনিটে এবছর আবেদন ফি জমা দিয়েছেন ৩ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী।২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৯ টি।যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডি ইউনিটে আসন প্রতি প্রতিযোগী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে তিনটি অনুষদের ১১ টি বিভাগে রয়েছে।২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চবি ডি ইউনিটে মোট আবেদন করেছে ৫৬ হাজার ৯৪১ জন।

মোট আবেদনকারী - ৫৬৯১৪ জন।

মোট আসন - ৯৫৮ টি।

আসন প্রতি প্রতিযোগি - ৬৩ জন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডি-১ উপ-ইউনিটে আসন প্রতি প্রতিযোগী

চবি ডি-১ উপ-ইউনিটে শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে আসন রয়েছে ৩০ টি।২০২৩-২৪ সেশন ডি-১ উপ-ইউনিটে মোট আবেদন করেছে ৩ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। 

মোট আবেদনকারী - ৩১১৬ জন।

মোট আসন - ৩০ টি।

আসন প্রতি প্রতিযোগি - ১০৩ জন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ডি ইউনিটের কাট মার্ক

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক ইউনিটের কাটমার্ক একেক রকম হয়।কাটমার্ক মূলত সর্বনিম্ন কতো মার্ক পেয়ে সাবজেক্ট পাওয়া যায় এটা নির্ভর করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটেই যেহুতু মেরিটলিস্ট প্রকাশ করে। প্রতিবছর প্রশ্নের ধরনের ভিন্নতা হয় তাই শেষ কতো মেরিট পর্যন্ত সাবজেক্ট মনোনয়ন পেয়েছেন সেটিকেই কাট মার্ক হিসেবে ধরা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিট এবং ডি-১ উপ-ইউনিটে যেহুতু সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে এবং বিভাগ পরিবর্তন করতে পারে।তাই এখানে কাট মার্ক বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

  • চবি ডি ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ৩২০০ এর ভিতর মেরিট সেফ জোন এবং ৩৫০০ এর শিক্ষার্থীরা সাবজেক্ট পাওয়ার আশা রাখতে পারে তবে কোন নিশ্চয়তা নেই।
  • চবি ডি ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের জন ৪২০০ মেরিট লিস্ট সেফ জোন এবং ৪৫০০ থেকে ৪৭০০ মেরিট পর্যন্ত সাবজেক্ট পাওয়ার আশা রাখা যায়।
  •  মানবিক বিভাগের ক্ষেত্রে ১৮০০ মেরিট পর্যন্ত সেফ জোন কিন্তু ২০০০ থেকে ২২০০ মেরিটে সাবজেক্ট পাওয়ার আশা রাখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কাট মার্কে পৌঁছাতে না পারলে করণীয়

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল, মেডিকেল, বুয়েট, ইজ্ঞিনিয়ারিং গুচ্ছ ,জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ।তাই অনেকেই যারা অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও সাবজেক্ট না পেলে অনেক প্যানিক কাজ করে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিজের মনোবল হারিয়ে ফেলে।তবে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪ এখনো হয়নি।তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বা রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলেও মনোবল না হারিয়ে নতুন উদ্যমে গুচ্ছের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।এতে করে ভবিষ্যতে একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

নবীনতর পূর্বতন

ছবি: দ্য ডেইলি পাবলিকিয়ান