অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় - বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় - বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ


উচ্চশিক্ষা‌ কথাটি যেন স্বপ্নের মতো। তা যদি হয় আন্তর্জাতিক মানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে তো তা আরো আনন্দময় ও চমকপ্রদ একটা বিষয়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা উদগ্রীব হয়ে অধীর আগ্রহে থাকে। আন্তর্জাতিক কিউ.এস. র্যাকিং এ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ পড়ার সুযোগ পাওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের কাছেই বিস্ময়কর এক স্বপ্ন। কিউ.এস. র্যাকিং হলো বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার মান, এলামনাই, শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করে তাদের দেয়া একটা মূল্যায়ন। 

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে । আজকে অস্ট্রেলিয়ান সেরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের অবস্থান, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, আবেদনের যোগ্যতা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। পাশাপাশি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট লিংক দেয়া থাকবে যাতে করে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তা হয়।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়

বিদেশে উচ্চশিক্ষা এই বিষয়টি এখনো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে যেন সোনার হরিণ।বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মাঝে অস্ট্রেলিয়ান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অন্যতম। শিক্ষার মান , পরিবেশ, ভবিষ্যত সুযোগ সুবিধার ও‌ উন্নত জীবনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম সারির দেশগুলোতে যাবার ইচ্ছে প্রখর। অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ৪১ টি বিশ্ববিদ্যালয়, যার মাঝে ৩৭ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় , ৩ টি প্রাইভেট অর্থাৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটিমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কিউ.এস র্যাঙ্কিং প্রথম সারির দিকে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৫ বিশ্ববিদ্যালয়

পৃথিবীতে অসংখ্য প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তার মাঝে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত । অস্ট্রেলিয়াতে ৪১ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মাঝে সেরা পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উঠে এসেছে মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি, সিডনি, সিডনি ইউনিভার্সিটি, অস্টেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মোনাশ ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কিউ. এস র্যাকিং ২০২৪ এ অস্ট্রেলিয়ার সেরা পাঁচ এবং পৃথিবীর সেরা পঞ্চাশ এ স্থান করে নিয়েছে।

মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি

মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের প্রকাশিত কিউ.এস রেংকিং এ অস্টেলিয়ান প্রথম এবং বিশ্বব্যপি চৌদ্দতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। মোট ছয়টি ক্যাম্পাস রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। ১৮৫৩ সালে মাত্র ৪ জন শিক্ষক এবং ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু। বর্তমান ২০৭ টি আন্ডারগ্রেজুয়েট এবং ১৮৩ বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট করায়। বর্তমানে ৬৫০০০ শিক্ষার্থী এবং ৮০০০ শিক্ষাক এবং কর্মকর্তা কর্মচারী যার মধ্যে ৩০০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ১৩০ টি দেশের। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ টি ক্লাব রয়েছে। ভর্তির জন্য পোষ্ট গ্রাজুয়েট জিম্যাট এ ৬৮০+ আই.এল.টি.এস এ ৬ এবং টোফেল এ ৭৯+ প্রয়োজন। আন্ডারগ্রেজুয়েট ভর্তির জন্য স্যাট এ ১২৫০+ এ.টি.এ.আর এ ৫৫+ আই.এল.টি.এস এ ৬ এবং টোফেল এ ৭৯+ প্রয়োজন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে: https://www.unimelb.edu.au/

নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি, সিডনি

২০২৪ সালের প্রকাশিত কিউ.এস রেংকিং এ অস্টেলিয়ান দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যপি ঊনিশতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনটি ক্যাম্পাস রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬১ টি আন্ডারগ্রেজুয়েটে ১৫৫ টি পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। মোট ১৫৪৬১ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তির জন্য জিম্যাট ৫৫০+ আই.এল.টি.এস ৬.৫+ এবং টোফেল এ ৯০+ স্কোর প্রয়োজন। আন্ডারগ্রেজুয়েটে প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য স্যাট এ ১১৩০+ এ.টি.এ.আর এ ৭৫+ আই.এল.টি.এস এ ৬.৫+ এবং টোফেল এ ৯০+ স্কোর প্রয়োজন হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে: https://www.unsw.edu.au/study/international-students 

সিডনি ইউনিভার্সিটি

২০২৪ সালের প্রকাশিত কিউ.এস রেংকিং এ অস্টেলিয়ান দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যপি ঊনিশতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। বারোটি ক্যাম্পাস রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। ১২৬ টি আন্ডারগ্রেজুয়েট এবং ২৬৩ টি পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে। ৫০০০০ এর ও বেশী শিক্ষার্থী ৩৪০০ শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তা এবং ৩২০০০০ এর মতো এলামনাই রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে: https://www.sydney.edu.au/

অস্টেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

অস্ট্রেলিয়ায়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২৪ সালের কিউ.এস রেংকিং এ অস্টেলিয়ান চতুর্থ এবং বিশ্বব্যপি ৩৪ তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৪৬ সালে পথচলা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে পাঁচটি ক্যাম্পাস ৮৮ টি আন্ডারগ্রেজুয়েট এবং ১৬৯ টি গ্রেজুয়েট প্রোগ্রাম আছে। ৩৯০২৪ অস্ট্রেলিয়ায়ান টিউশন ফি গুনতে হবে প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে: https://www.anu.edu.au/

মোনাশ ইউনিভার্সিটি

অস্ট্রেলিয়ায়ার পঞ্চম সেরা এবং বিশ্বব্যপি ৪২ নম্বর এ আছে মোনাশ ইউনিভার্সিটি। মোট তেরোটি ক্যাম্পাস ৩৩১০ জন ফ্যাকাল্টি এবং ৫২১৭৫ জন শিক্ষার্থী যার মাঝে ২৯১৮২ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ৯৬ টি আন্ডারগ্রেজুয়েট এবং ১৭০ টি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট করা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্ডারগ্রেজুয়েটে ভর্তির জন্য এ.আর.এ.টি তে ৬০+ টোফেল এ ৭৯+ এবং আই.এল.টি.এস ৬+ স্কোর প্রয়োজন। পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে টোফেল এ ৭৯+ আই.এল.টি.এস ৬+ এবং জিপিএ ৫ থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে: https://www.monash.edu/

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় কেন মানুষ আগ্রহী?

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং চাকরির বাজারের বিপুল পরিমাণ প্রতিযোগিতার কারণে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। বিদেশে পাড়ি দিতে উচ্চশিক্ষার বিকল্প এবং সহজ উপায় খুব কমই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি বছর ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ছাড়ছেন, কিন্তু পড়ালেখা শেষে ফিরে আসছে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী, বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী সে দেশে স্থায়ি ভাবে থেকে যাচ্ছেন। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স এর তথ্য মতে বাংলাদেশের ১০০ জন ডিগ্রিধারির ৪৭ জন বেকার। এই বিপুল সংখ্যক বেকার থাকার ফলেও অনেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। সুন্দর এবং নিশ্চিত ক্যারিয়ার, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী। বিদেশে উচ্চশিক্ষা স্থায়ী ভাবে অনেক দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার বড় একটি মাধ্যম, তাই অনেকেই উচ্চশিক্ষার দিকে ঝুঁকছে।

অস্টেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুবিধা

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা পছন্দের তালিকায় ইউ.এস.এ এবং ইউ.কে এর পরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। এর পিছনে অন্যতম কারণ দেশটির সরকারের দেয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়াকে তাদের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে, গবেষণার সুযোগ, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ, পি.আর সুযোগ, শিক্ষার্থী বান্ধব শহরের পরিবেশ, পড়ালেখা শেষেও দুই থেকে চার বছর কাজের জন্য ভিসা মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ, পরিবারের মানুষদের নিয়ে যাওয়ার সুযোগ, বিভিন্ন স্কলারশিপ, সুন্দর শহর এমন অনেক সুবিধা রয়েছে।

অস্টেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার অসুবিধা

নিউটনের বলবিদ্যা মতে প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ঠিক তেমনি একটা জিনিসের ভালো দিকের সাথে কিছু খারাপ দিকও থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। এর মাঝে রয়েছে উচ্চ জীবন যাত্রার খরচ, পরিবার থেকে দূরে থাকা, ভিসা জটিলতা, সম্পুর্ন অন্য একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে সমস্যা, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা, কাজ পাওয়া সহ অনেক অসুবিধা রয়েছে।

কেন অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করা উচিত?

এখন একজনের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে স্বভাবত পৃথিবীতে এতো এতো দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে কেন আমি অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিবো । তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক এই প্রশ্নের উত্তর। অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে বিশ্বমানের সব বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণায় অনেক এগিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান। কিউ.এস র্যাঙ্কিং অস্ট্রেলিয়ান সেরা ০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় উঠে এসেছে ৫০ এর ভিতরে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ২০% থেকে ১০০% স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাবার সুযোগ, পড়ালেখা শেষ করে স্থায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য পি.এল পাওয়ার সুযোগ, পড়ালেখা শেষেও সবোর্চ্চ চার বছর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ, অস্ট্রেলিয়ান ভিসা পাওয়ার সুযোগ, নিরাপত্তা, সাচ্ছদময় জীবনের সুযোগ। এরকম আরও অসংখ্য সুযোগ সুবিধার জন্য একজন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেয়।

জীবনে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষা মানুষকে অন্যদের থেকে আলাদা করে । একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ তার জীবনে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা, নেতৃত্ব দেয়া শেখা, স্পেশালাইজড ক্যারিয়ার, উচ্চ ক্যারিয়ার গ্রোথ, বেটার লাইফস্টাইল, বেটার চাকরির সুযোগ, উচ্চ উৎপাদনশীলতা , চিন্তা শক্তির বিস্তার, ভালো যোগাযোগ সক্ষমতা, সুন্দর ও সুখি জীবন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৪২ শতাংশ তরুণ বিদেশে পাড়ি জমাতে চান এর মাঝে অর্ধেক এর ও বেশী যেতে চাই উচ্চশিক্ষার জন্য।

অস্টেলিয়ান ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ

বিভিন্ন দেশের সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা এবং কোম্পানি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। স্কলারশিপ কে উচ্চশিক্ষার একটি অন্যতম সুযোগ বলা যায়। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হলেও টিউশন ফি এর ব্যাপকতা এর জন্য সবার জন্য সম্ভব হয় না । স্কলারশিপ তাদের জন্য অভূতপূর্ব একটি সুযোগ। অনেক সময় মেধাবী জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীভূত করার জন্যও অনেক দেশ অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে। অস্ট্রেলিয়ায়া এওয়ার্ড স্কলারশিপ, ডেস্টিনেশন অস্টেলিয়া স্কলারশিপ, মোনাশ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ, এডেলেডিয়া গ্লোবাল এক্সিলেন্স, অস্ট্রেলিয়ায়ান গর্বমেন্ট রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম , ইন্টআরন্যশনাল রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ, তাসমানিয়া গ্রাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ সহ অসংখ্য স্কলারশিপ এর সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়ান বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ পড়ার জন্য।

একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা অনেকাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কিউ.এস র্যকিং এর উপর নির্ভর করে । কথা যদি আসে অস্ট্রেলিয়ায়ান বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের তাহলে এই র্যাকিং শীর্ষ অবস্থান গুলো অনেক সময় ধরে তাদের আয়ত্বে। আন্তর্জাতিক মআল্টইন্যশনাল কোম্পানি গুলোর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে অস্ট্রেলিয়ান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য সেরা ০৫ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবাসী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীসহ দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে অস্ট্রেলিয়ান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ। 


লেখক: মোঃ আল মামুন ইসলাম

শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

নবীনতর পূর্বতন

ছবি: দ্য ডেইলি পাবলিকিয়ান