উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী চলে যায় কর্মজীবনে। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা কনটিনিউ করে। উচ্চমাধ্যমিকের পর যেসকল শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে যায় তাদের সিংহভাগ এর টার্গেট থাকে দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ কিংবা ইজ্ঞিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনেকের আবার স্বপ্ন থাকে নার্সিং কলেজ। পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাওয়া একটা ছোট অংশ স্বপ্ন দেখে দেশের স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার। মুষ্টিমেয় বা খুবই অল্পসংখ্যক কিছু ছাত্র ছাত্রী পাড়ি জমায় দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য। বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল এবং দ্রুতবর্ধনশীল জনসংখ্যার দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে মোট ১৬৫ টি। এর মধ্যে সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৮ টি এবং বেসরকারি বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৭ টি এর মতো। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ২২৫০ টি এর মতো। যে সকল শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না বা অংশগ্রহণ করে না এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে না তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশে বিস্তৃত কলেজগুলোতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে থাকে।
সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের মনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইজ্ঞিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। সল্প খরচে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি, সারাদেশের মানুষ ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার সুযোগ, নিজস্ব ক্যাম্পাস, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি, নিজেকে যাচাই ও বিস্তার করার অনবদ্য সুযোগ, স্ট্রং এলামনাই নেটওয়ার্ক, পার্সোনাল ডেবোলাপমেন্ট, দেশ সেরা শিক্ষক, গবেষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়া এর জন্য শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেশের One Of The Toughest Competitive Examination. B.C.S, ব্যাংক কিংবা অন্যান্য কম্পিটিটিভ পরিক্ষার মতোই একটি কঠিন ও প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষা এটি, সেই সাথে প্রচুর চ্যালেঞ্জিং, কারণ শুধু পাশ করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পথ ক্লিয়ার না। কেননা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্ধারিত সংখ্যক আসন রয়েছে এবং প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীই ভর্তি নেওয়া হয়। তাই ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করার পাশাপাশি মেধাতালিকাতেও নিজের জায়গাটা প্রথম দিকে রাখতে হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ কিংবা ইজ্ঞিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সিট নিজের করে পেতে। নিজের নামের পাশে পাবলিকিয়ান ট্যাগ লাগাতে।
উচ্চমাধ্যমিকের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল,ডেন্টাল, ইজ্ঞিনিয়ারিং প্রিপারেশন
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তি যুদ্ধ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ,ডেন্টাল কিংবা ইজ্ঞিনিয়ারিং ভর্তির লড়াই যে যেটাই বলুক। শুরু হয় এইচএসসির পর থেকে। কিন্তু বর্তমানের এই প্রতিযোগিতামূলক সময়ে বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীরাই উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে থাকে।
স্বপ্ন যাদের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাবি, দেশের সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় জানবিবি খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাবি বা প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাই হোক না কেন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হওয়ার জন্য একটি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আর সেই প্রতিযোগিতার নাম হলো ভর্তি পরীক্ষা।
এখন প্রশ্ন হলো উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতির পাশাপাশি কি করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া যায় তা নিয়ে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখানে প্যানিক হয়ে যায়, তারা মনে করে এইচএসসির পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশন নেয়া কিভাবে সম্ভব, এটা তো অনেক বেশি কঠিন কাজ। এতো বেশি পড়া একসাথে কিভাবে কভার করবো। আসলে ছাত্র ছাত্রীরা বিষয়টাকে যতটা কঠিন, জটিল ও দূর্বদ্ধো হিসেবে চিন্তা করে থাকে বিষয়টা তটতা জটিল বা কঠিন কোন সমস্যা ই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এবং এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস একটাই শুধু মানবন্টন টা আলাদা। তাই একজন শিক্ষার্থী যদি তার উচ্চমাধ্যমিকের বইগুলো সুন্দর ভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে তার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ডেন্টাল, ইজ্ঞিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার বেশিরভাগ পড়াই হয়ে যায়। উচ্চমাধ্যমিকে সাধারণত প্রশ্ন হয়ে সিলেবাসের বিভিন্ন ব্রড বিষয়ে কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় হয় এর উল্টোটা। ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যায় প্রশ্ন হয়ে থাকে অনেক বেশি ডিপ নলেজ থেকে। প্রশ্ন বুঝতে ও উত্তর করতে হলে ঐ বিষয়ে অনেক সুন্দর একটা ধারাণা থাকতে হয়। উচ্চমাধ্যমিক টু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি।